১। প্রারম্ভিকতা:
এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলাম আনুমানিক ২০১১ ইং সনে।
[পোস্টটির মধ্যে আরো থাকছে বন্ধন সমিতি বন্ধের ঘোষণা প্রদান ও এর কারণ বিবৃতকরণ এবং ইসলামী সমিতি প্রতিষ্ঠার কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার। উল্লেখ্য যে এ পোস্টের কোনো ফাইল ওপেন করতে অবশ্যই আপনার মোবাইলে গুগল ড্রাইব এ এপ্লিকেশনটি থাকার প্রয়োজন হবে]
প্রতিষ্ঠানের প্রারম্ভিক ইতিহাস:
মানবসেবা করার ইচ্ছা, ইহা যেন আমার একটা হবি ছিলো। খুব ভালো লাগতো, যখন কারো উপকার করতে পারতাম।
সে হবি থেকে নিরন্তর আকাংখা এবং একসময় তা নেশায় পরিণত হয়ে উঠলো আমার।
তাই এ পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সবাইকে এর ইতিবৃত্ত জানিয়ে দিবো ইনশা’আল্লাহ। যাতে আপনাদের দোয়া ও আন্তরিকতা পেতে পারি। সে সাথে আগামীর ভান্ডারে যেন সংরক্ষিত করে রাখতে পারি, আমার এই দূর্দান্ত সাহসিকতা ও আবেগমাখা কর্মযজ্ঞের স্মৃতি-স্মারক!!
অনেকটা নেশা খোরের মতো ভাবতে থাকলাম কী করা যায়।
মনে হলো, পৃথিবীতে হযরত ঈমাম মাহাদি (আ:) ও হযরত ঈসা (আ:) ইঁনাদের আগমণ ঘটবে। আমিতো হয়তো সে পর্যন্ত বাঁচবো না। কিন্তু তাহলে এ বিষয়ে আমার কি কিছুই করার নাই (?) এ বিষয়ে কোনই সাওয়াব হাসিল করতে পারি না আমি! আমার কি করণীয় বলতে কিছুই নেই!? এ যুগে জন্ম গ্রহণ করে, পাইনি নবী-রাসূল (সা:), সাহাবায়ে কেরাম (রা:) কারো দেখা। পাইনি তাবেঈ ও তবে তাবেঈ , তাদের কাউকেও। তবে আমি কি একটু চেষ্টা করে, হযরত ঈমাম মাহাদী (আ:) ও হযরত ঈসা (আ:) ইঁনাদের আগমনের বিষয়ে কোনই সাওয়াব অর্জন করতে পারি না!!? তাঁদের আগমন ও কার্যক্রমের বিষয়ে এ যুগের কারো দ্বারা কোন ভূমিকা রাখা কি একেবারেই সম্ভব নয়?
সিদ্ধান্ত নিলাম, নাহ্! আমাকে কিছু একটা করতে হবে!
যে চিন্তা, সে কাজ। শুরু করলাম একটা সমাজসেবা মূলক প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্র লিখতে। কারণ আগে মানসিক ভাবে স্থির হতে হবে কী করবো এবং কিভাবে করবো।
২। সমিতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মানুষদেরকে ১ম আহবান:
২০১৪ ইং সনের দিকে মানুষকে আহবান করলাম। নিজ আত্মীয় স্বজন, বিত্তবান, ক্ষমতাবান ও আলেম সমাজের তেমন কারো সাড়া পেলাম না। উল্টো তাদের দ্বারা অসহযোগিতা পেলাম। তাদের সে অসমর্থনে দু:খ পেলেও, পদে পদে বাধাগ্রস্থ হলেও, আমি কিন্তু থেমে গেলাম না। হেল্পলেস হলেও, হোফলেস ভাবলাম না নিজকে।
আমার আহবানে সাড়া মিললো দূর্বল শ্রেণীর কিছু মানুষের। পরবর্তীতে অবশ্য সুবিধা লাভের জন্যে হোক বা যে জন্যেই হোক কিছু লোক আমাদের সাথে একত্রিত হয়েছিলো।
সাধারণ মানুষ ও হাতে গোনা অল্প কিছু বয়োজ্যাষ্ঠ সম্মানিত মুরুব্বীকে নিয়ে সিদ্বান্ত হলো আমরা একটি ইসলামি সমবায় সমিতি ও সমাজকল্যাণ মূলক একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করবো।
(সম্মানিত ভিউয়ারগণকে অনেক কষ্টে পাবলিস্ট করা Bandhan Foundation বন্ধন ফাউন্ডেশন এর পরিচিতি, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ করছি)
এতে উপস্থিত সবাই একমত হলেন, লাভের ২০% মানবকল্যাণ মূলক কাজে ব্যয় হবে। আমি ৫০% প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু মিটিংয়ে তা বাতিল হয়ে যায়।
৩। আইন তৈরী ও ফতোয়া সংগ্রহ:
তৈরী করতে থাকলাম সমাজসেবা কাজের একটি লিখিত ম্যানুয়েল এবং পরবর্তীতে তা সমিতির উপআইনের মধ্যে সংযোজিত করলাম।
ফতোয়া প্রদানে উপযুক্ত, এ রকম মাদ্রাসা থেকে, কষ্ট করে সংগ্রহ করলাম ইসলামি সমিতির লেনদেন বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন জিজ্ঞাসার, তথা সম্ভাব্য সমস্যাবলীর সমাধান বা উত্তর। এতে আমি উনাদের নিকট প্রশ্ন নিয়ে গিয়েছিলাম; আর পরবর্তী সময়ে তাঁরা আমার এ প্রশ্ন সমূহের উত্তর প্রদান করেছিলেন।
লেনদেন বিষয়ে আমার সে প্রশ্ন ও উত্তর আপনারা দেখতে চাইলে ও জ্ঞান অর্জনের ইচ্ছা হলে, তাহলে নিম্নের বইটি পড়ে দেখতে পারেন-
৪। সমিতির জন্য আমার ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় ফতোয়া আনয়ন ও তা বই আকারে সংরক্ষণ:
যা হয়তো আপনাদের ভবিষ্যত জীবনে কাজে লাগতে পারে।
এখানে আমি আমার থেকে করা প্রশ্ন, ও মুফতি মহোদয় কর্তৃক প্রদান করা উত্তর, উভয়টিই আপনাদের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করেছি। যা আমার কাছে লেমিনেটিং করা অবস্থায় সংরিক্ষত আছে।
৫। সমিতি পরিচালনার মূলমন্ত্র ও প্রামাণ্য দলিল সংরক্ষণের প্রস্তুতি:
সমিতির কাজে সীমাহীন ত্যাগ স্বীকার ও অপমান সহ্য করার মাধ্যমে সমিতি পরিচালনা করতে থাকলাম।
না, হযবরল ভাবে সমিতি পরিচালনা করিনি। তার একটু প্রমাণ আপনাদেরকে দিচ্ছি। যাতে আমাকে আপনারা বুঝতে পারেন ও এ ধরনের নতুন কোন প্রতিষ্ঠান করার জ্ঞান আপনারা পেতে পারেন।
যার মূলমন্ত্র ও প্রামাণ্য দলিল বা চিত্র সমূহ আপনাদেরকে ইনশাআল্লাহু তা’য়ালা নিম্নে ধারাবাহিক ভাবে তুলে ধরবো। এ বিষয়টি পরিপূর্ণ ভাবে জানতে হলে আপনাদেরকে এ সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি মনোযোগের সহিত পড়তে হবে।
অবশ্য অরজিনালি ভাবে প্রকাশ করার জন্য সব তথ্য ও ছবি আমার কাছে এখন আর নেই। নিজ মোবাইল দিয়ে ফটো তুলে তুলে আপনাদেরকে দেখাতে হচ্ছে। কারণ প্রতিষ্ঠানটি এভাবে যে বন্ধ হয়ে যাবে; তা আমি আশা করিনি। তাই সবগুলো ফটো বা ফাইল হয়তো সম্পূর্ণ ক্লিয়ারলি নাও দেখতে পারেন। কারণ প্রতিষ্ঠানটি শুরুতে যেভাবে ছিলো, এখনতো আর সেভাবে নেই। যেহেতু প্রতিষ্ঠানটির এ কার্যক্রমটি এখন বন্ধ হয়ে গেছে।
আবার আমার স্বপ্ন আর ত্যাগের এ প্রতিষ্ঠানকে স্মৃতির মণিকোঠায় আবদ্ধ করে রাখার বা মানুষকে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করার ইচ্ছা যদি না হতো, তবে এ লিখা হয়তো এভাবে আমি লিখতামও না।
(সম্মানিত ভিউয়ারগণকে অনেক কষ্টে পাবলিস্ট করা Bandhan Foundation বন্ধন ফাউন্ডেশন এর পরিচিতি, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ করছি)
৬। সরকার কর্তৃক প্রকাশিত সমবায় আইন ও বিধি:
তো সমিতি আরম্ভের শুরুতেই সরকারের সমবায় আইন ও বিধি বইটি কিনে আনি এবং এটি স্ট্যাডি করতে থাকি।
বইটির একাংশ দেখতে চাইলে
দেখতে পারেন।
এবং এরপর সরকারি এ বইকে ভিত্তি করে মানবসেবার উদ্দেশ্যে আমার ব্যক্তিগত মানসিক আগ্রহ অনুযায়ী লিখা আরম্ভ করি সমিতির উপআইন বা গঠনতন্ত্র। যা প্রায় ৭/৮ বছর পর গত ২০০০ ইং সনে মোটামুটি একটা রুপদান করে প্রকাশ করতে সমর্থ হই।
৭। আমার নিজের দ্বারা লিখিত ও সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় প্রকাশিত সমিতির উপআইন:
আপনাদের জ্ঞাতার্থে উপআইনটি নিম্নে প্রকাশ করা হলো-
আবার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মানুষের মনোভাব বুঝতে এ ভিডিওটি বিশেষ করে ভিডিওর শেষের দিক দেখতে পারেন।
৮। সমিতির সূচনা ভিডিও ও মানুষের মনোভাব:
ভিডিও দেখতে-
প্রধানত এ ২টি বইকে অনুসরণ করে নিম্নোক্ত ভাবে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করি। তার কিছু বিবরণ নিম্নে উল্লেখ করলাম।
প্রথমে যারা আমাদের এ সমিতির সদস্য হতে আগ্রহ প্রকাশ করতো তাদেরকে সমতিরি নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করে আমাদের নিয়ম-কানুন মেনে আবেদন করতে হতো।
৯। সদস্য আবেদন ফরম:
সদস্য কর্তৃক আবেদনকৃত ১টি বাস্তব ফর্ম দেখে নিতে পারেন।
আবার সদস্য কর্তৃক আবেদনের পর প্রথমে আমরা অফিসিয়ালি ভাবে সদস্যের পরিচয়, একাউন্ট সম্পর্কিত বিবরণ ও ঠিকানা এ রেজিস্টারে লিখে রাখতাম।
১০। সমিতির সদস্য রেজিস্টার বই:
রেজিস্টারটির একাংশ দেখতে
সমিতির অস্থায়ী অফিস হিসেবে আমার বসত ঘরের সামনের রুমটি মিটিংয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট করা হয়েছিলো। যেহেতু আমার বসত ঘরে সমিতির কার্যক্রম সম্পন্ন করা হতো, তাই আমি আমার এ ঘরকে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপযুক্ত ভাবে প্রস্তুত করেছিলাম।
(সম্মানিত ভিউয়ারগণকে অনেক কষ্টে পাবলিস্ট করা Bandhan Foundation বন্ধন ফাউন্ডেশন এর পরিচিতি, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ করছি)
অস্থায়ী এ অফিসটি দেখতে অর্থাৎ আমার বসত ঘরের যেখানে যেখানে সমিতির কার্যক্রম চলতো, তা দেখতে-
১১। সমিতির অস্থায়ী অফিস:
যদি সমিতির অফিস এ ঘরে পরিচালিত না হতো, তবে এখানে আমি এতো লাইট, দামি ফ্যান, মজবুত দরজা জানালা, তাক; এতো কিছু ব্যবস্থা করতাম না এবং এগুলো আমি সম্পূর্ণ নিজ খরচে করেছি; সমিতির খরচে নয়।
অফিসিয়াল কার্যক্রম মানসম্মত প্রতিষ্ঠানের মতো লিখিত ভাবেই সম্পন্ন করছিলাম।
১২। রেজুলেশন বই:
আমাদের মিটিং এর রেজুলেশন লিখা হতো এ রেজিস্টারে। রেজিস্টারটির একাংশ দেখতে-
১৩। নোটিশ রেজিস্টার:
অন্যদিকে কাউকে কোন ধরনের চিঠি পত্র দিলে, তা আমরা এ রেজিস্টারে হুবহু লিখে রাখতাম। অনেক সময় এ রেজিস্টার থেকেই মোবাইল দিয়ে স্ক্যান করে অনলাইনে প্রেরককে পাঠিয়ে দিতাম। রেজিস্টারটির একাংশ দেখতে-
১৪। বেতন রেজিস্টার:
সমিতির বেতনবিল করতাম এ রেজিস্টারের সাহায্যে। রেজিস্টারটির একাংশ দেখতে-
১৫। বাৎসরিক চূড়ান্ত হিসাব রেজিস্টার:
নভেম্বর/ডিসেম্বর মাসে সমিতির চুড়ান্ত হিসাব সম্পন্ন করতে এ রেজিস্টারটি ব্যবহার করেছি। রেজিস্টারটির একাংশ দেখতে-
যাদের কাছ থেকে সঞ্চয় ও ঋণের কিস্তি বা ধার উধারের টাকা আদায় করেছি, তা এ পাশ বইতে লিখে, টাকা প্রদানকারীদের ডকুমেন্ট হিসেবে বইটি তাদের নিকট রেখে আসতাম।
(সম্মানিত ভিউয়ারগণকে অনেক কষ্টে পাবলিস্ট করা Bandhan Foundation বন্ধন ফাউন্ডেশন এর পরিচিতি, এ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি)
১৬। সমিতির পাশ বই (চলতি হিসাব):
বইটির একাংশ দেখতে-
১৭।সমিতির পাশ বই (মেয়াদি হিসাব):
আবার মেয়াদি হিসাবের টাকা আমরা সদস্যদের এ বইতে কালেকশান করতাম।
বইটির একাংশ দেখতে
১৮। সমিতির পাশ বই (বিনিয়োগ হিসাব):
এছাড়া যারা আমাদের নিকট থেকে বিনিয়োগ হিসেবে মূলধন গ্রহণ করতো, তাদের ডকুমেন্ট হিসেবে, তাদের টাকার হিসাব আমরা এ বইতে লিখে আসতাম।
বইটির একাংশ দেখার জন্য
১৯। অফলাইন সঞ্চয় রেজিস্টার:
এরপর অফিসে সঞ্চয়কারীদের টাকা আমরা এ অনলাইন রেজিস্টারে লিখে হিসাব রাখতাম। অবশ্য আগে কাগজের রেজিস্টারে লিখে হিসাব রাখা হয়েছিলো-
কাগজের সঞ্চয় রেজিস্টারটির একাংশ দেখতে
এবং
২০। অনলাইন সঞ্চয় রেজিস্টার:
অনলাইনে সম্পন্নকৃত ডিজিটাল সঞ্চয় রেজিস্টারটির একাংশ দেখতে
২১। অফলাইন লোন রেজিস্টার:
আবার লোন এবং কর্জে হাসানার টাকা আমরা ম্যানুয়ালি এ রেজিস্টারে হিসাব রেখেছি।
রেজিস্টারটির একাংশ দেখতে
২২। অনলাইন লোন রেজিস্টার:
এবং পরবর্তীতে ডিজিটালি এ রেজিস্টারে হিসাব রাখা হতো।
রেজিস্টারটির একাংশ দেখতে
২৩। ঋণ লেজার:
ঋণ লেজার হিসেবে আমরা এ রেজিস্টারটি ব্যবহার করেছি।-
রেজিস্টারটির একাংশ দেখতে চাইলে
২৪। ফাইনাল একাউন্ট রেজিস্টার:
দেখে নিতে পারেন। একই সাথে অপরিশোধিত ঋণ, খেলাপি ঋণ, আদায়কৃত ঋণ, বিনিয়োগ, মূলধন এবং সমিতির আয় সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা এ রেজিস্টারটি ব্যবহার করেছি।
রেজিস্টারটির একাংশ দেখতে
২৫।ম্যানুয়েল বিনিয়োগ ক্যাশ বুক:
এছাড়া বিনিয়োগের টাকার হিসাব রাখতে প্রথমে ম্যানুয়েলি ও পরবর্তীতে ডিজিটালি রেজিস্টার ব্যবহার করেছি।
ম্যানুয়েল রেজিস্টারটির একাংশ দেখতে
এবং
(সম্মানিত ভিউয়ারগণকে অনেক কষ্টে পাবলিস্ট করা Bandhan Foundation বন্ধন ফাউন্ডেশন এর পরিচিতি, এ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি)
২৬।অনলাইন বিনিয়োগ ক্যাশ বুক:
ডিজিটাল রেজিস্টারটির একাংশ দেখতে-
এছাড়া যদিও সমাজ সেবার কাজ তখনও ঐ ভাবে আরম্ভ হয়নি, তবুও যেটুকু আরম্ভ করতে পেরেছিলাম, এতে সদস্যদের পরিচয় রাখার জন্য আমরা এ রেজিস্টারটি ব্যবহার করেছি। রেজিস্টারটির একাংশ দেখতে-
২৭। সমাজসেবা সদস্য রেজিস্টার:
২৮। সমাজসেবা সদস্য কার্ড:
আবার যারা আমাদের সমাজসেবা বিভাগের নিয়মানুযায়ী সদস্য হয়েছিলেন তাদের পরিচয় পত্র হিসেবে আমরা তাদেরকে এ কার্ডটি দিয়ে ছিলাম।
কার্ডটি দেখতে-
২৯। সমাজসেবা ডিজিটাল ক্যাশবুক:
আবার সমাজসেবা সদস্যদের চাঁদার বা নিয়মতান্ত্রিক গ্রহণকৃত টাকার হিসাব আমরা অফিসিয়ালি ভাবে এ ডিজিটাল রেজিস্টারে রাখতাম।
রেজিস্টারটির একাংশ দেখার জন্য
এছাড়া গ্রাহক পর্যায়ে উল্লেখ করার মতো টাকা গুলো আমরা তাদের জেনারেল বিভাগের সঞ্চয় ও ঋণের পাশ বইতেই লিখে আসতাম।
৩০। সমাজসেবা অনলাইন কর্জে হাসানা রেজিস্টার:
অন্যদিকে এ বিভাগ হতে যাদেরকে কর্জে হাসানা বা ধার-উধার দিয়েছি তাদের হিসাব আমরা ডিজিটালি এ রেজিস্টারে রেখেছি। রেজিস্টারটির একাংশ দেখতে-
৩১। সমাজসেবা অফলাইন কর্জে হাসানা রেজিস্টার:
এবং সমিতির প্রথম দিকে ম্যানুয়ালি এ রেজিস্টারে হিসাব রেখেছি। রেজিস্টারটির একাংশ দেখতে-
এছাড়া সমাজ সেবা বিভাগে কে কে টাকা দিচ্ছে বা কোন কোন ক্যাটাগরিতে (ও একাউন্টে) টাকা দিচ্ছে, সে হিসাব রাখার জন্য আমরা ম্যানুয়ালি এ ২টি রেজিস্টার ব্যবহার করেছি।
৩২। সমাজসেবা হিসাব রেজিস্টার:
রেজিস্টার ২টির একাংশ দেখতে
এবং
(সম্মানিত ভিউয়ারগণকে অনেক কষ্টে পাবলিস্ট করা Bandhan Foundation বন্ধন ফাউন্ডেশন এর পরিচিতি, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ করছি)
৩৩। সমিতির ক্যাশবুক:
অন্যদিকে ক্যাশবুক হিসেবে সমাজ সেবা বিভাগে এবং জেনারেল বিভাগে আলাদা আলাদা ক্যাশবুক ব্যবহার করেছি। আগে ম্যানুয়াল ক্যাশবুক ব্যবহার করতাম, পরে ডিজিটালি ভাবে ব্যবহার করেছি।
ক্যাশবুক গুলোর একাংশ দেখতে
নিম্নে ক্লিক করুন
৩৪। সমিতির ম্যানুয়েল অর্থমান রেজিস্টার:
আবার সদস্যদেরকে লভ্যাংশ প্রদান করতে যে হিসাবটি সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, অর্থাৎ সদস্যের প্রদত্ত টাকার অর্থমান বা ইকোনমিক ভ্যালু বের করতে আমরা ম্যানুয়ালি এ রেজিস্টারের সাহায্যে তা করতাম।
রেজিস্টারটির একাংশ দেখতে
৩৫। সমিতির অনলাইন অর্থমান রেজিস্টার:
এবং পরবর্তীতে ডিজিটালি এ রেজিস্টারটি ব্যবহার করেছি।
রেজিস্টারটির একাংশ দেখতে
(সম্মানিত ভিউয়ারগণকে অনেক কষ্টে পাবলিস্ট করা Bandhan Foundation বন্ধন ফাউন্ডেশন এর পরিচিতি, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ করছি)
[সুপ্রিয় পাঠক, এভাবে কখনো ভেবেছেন কি; যে জানুয়ারি মাসে ৫০০ টাকা জমা দিলো, আর যে নভেম্বর মাসে ৫০০ টাকা জমা দিলো অথবা যার মার্চের কিস্তি ডিসেম্বরে দিল (যেহেতু আমাদের কোন জরিমানা ছিলো না) অথবা যে সদস্য ডিউ টাইমেই দিলো, এ ধরনের বিভিন্ন সূরতে সদস্যদের প্রদত্ত মোট টাকা বছর শেষে হিসাবের সময় সমান হলেও তাদের লভ্যাংশতো কখনোই সমান হতে পারে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও আফসোসের বিষয় আমাদের দেশের বেশির ভাগ সমিতি বা অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানে এ গুরুত্বপূর্ণ হিসাবটি করা হয় না বা তারা করতে পারে না অথবা তারা বিষয়টি বুঝে না কিংবা ইচ্ছে করেই তারা একিউরেট হিসাবটি করে না। ফলশ্রুতিতে সদস্যদের লভ্যাংশ বন্টনে কখনোই ইনসাফ হয় না। হিসাবটি ভালো ভাবে বুঝতে হলে আমার কাছ থেকে ব্যক্তিগত ভাবে বুঝে নিতে হবে। যা লিখে বোঝানো আমার দ্বারা কখনোই সম্ভব নয়। যদি পারি পরবর্তীতে এ বিষয়ে আমার ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করবো ইনশা’আল্লাহ]
৩৬। ডিজিটাল খরচ, ব্যয় ও অবচয় হিসাব বুক:
সমিতির খরচের হিসাব রাখতে ডিজিটালি আমরা এ রেজিস্টারটি ব্যবহার করতাম। এর পূর্বে ক্যাশবুকে লিখে রাখতাম। ডিজিটালি এন্ট্রিকৃত খরচের হিসাবটির একাংশ দেখতে
৩৭। অডিট রেজিস্টার বুক:
এরপর আমি যে মাসব্যাপী হিসাব পরিচালনা করতাম এর ভুলত্রুটি সংশোধনের জন্য নিয়োগ দিয়ে ছিলাম ২ জন অডিটরকে এবং পরবর্তীতে রিপ্লেস হিসেবে আরো একজনকে।
(সম্মানিত ভিউয়ারগণকে অনেক কষ্টে পাবলিস্ট করা Bandhan Foundation বন্ধন ফাউন্ডেশন এর পরিচিতি, এ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি)
তাদের ৩ জনই ছিলো উচ্চ শিক্ষিত। একজন বিএসসি ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আরেকজন চট্রগ্রাম ইউনিভার্সিটি থেকে ম্যাথমেটিক্স এ অনার্স মাস্টার্স। ৩ জনই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইন্সট্রাক্টর বা জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর ছিলেন। তাদের পরিচয় সমিতির উপআইনের মধ্যে রয়েছে।
তারা প্রতি মাসেই নিয়ম অনুযায়ী অডিট করতো; কী কী বিষয়ে অডিট করা হবে, তা আমি অডিট রেজিষ্টারে নির্দিষ্ট করে রেখেছিলাম, রেজিস্টার অনুযায়ী বা আমার নির্দেশনা বা শিখানো নিয়ম অনুযায়ী এ অডিট তারা সম্পন্ন করতো।
অডিট রেজিস্টারটির একাংশ দেখে নিতে পারেন।
বিশেষ করে সদস্যদের আমানতের টাকা বা সঞ্চয় রেজিস্টারের প্রত্যেকটি হিসাব অর্থাৎ রেজিস্টারে উল্লেখিত প্রত্যেক সদস্যের সকল লেনদেন ক্যাশবুকে উত্তোলন করা হয়েছে কিনা তা ইন্ডিভিজ্যুালি যাচাই করা হতো। ঋণের কিস্তি প্রদান ও বিনিয়োগের লভ্যাংশ প্রদান, এ উভয় টাকা রেজিস্টার অনুযায়ী ক্যাশবুকে উত্তোলন করা হয়েছে কিনা তা তারা যাচাই করতো। প্রত্যেকটি লেনদেনের অর্থমান ঠিক মতো ধরা হয়েছে কিনা এবং সমাজ সেবা বিভাগে গ্রহণকৃত টাকা সমূহ রেজিস্টার অনুযায়ী সমাজসেবার ক্যাশবুকে এন্ট্রি করা হয়েছে কিনা তা যাচাই করা হতো। প্রতিমাসের খরচের হিসাব কমিটির অনুমোদন অনুযায়ী হচ্ছে কিনা তা তারা ভেরিফাই করতো এবং টোটাল হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধি পরীক্ষা করা হতো; কোথাও ভূল হলে তা ঠিক করা হতো। অডিট রেজিস্টারে উল্লেখিত নির্দিষ্ট ফরমেটটি তাদেরকে সম্পন্ন করতে হতো। রেজিস্টারের বাহিরে নিজ থেকে তারা কিছু করতে পারতেন না। হিসাব শেষে স্বাধীন ভাবে তাদের স্বাক্ষর সহ একটি করে রিপোর্ট প্রদান করা তাদের জন্য আবশ্যক ছিলো। মোটামুটি তাদের জন্য সম্মানজনক আপ্যায়ন ও ভাতার ব্যবস্থা করা হতো। অর্থাৎ প্রতি মাসেই আমি তাদেরকে মোটামুটি সম্মান জনক ভাতা প্রদান করেছি।
৩৮। বেতন-ভাতা নির্ধারণী হিসাব:
তাদের নিয়োগ, বেতন, ভাতা এবং আমার বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি এ বিষয়ক কমিটি কর্তৃক প্রতি বছর শেষে নির্ধারণ করা হতো এবং যা বার্ষিক সাধারণ সভার সভাপতি, এ সভা কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা বলে সমিতির উপআইন অনুযায়ী পরবর্তীতে মিটিংয়ের মাধ্যমে পাশ করতেন। আপনারা
এ বিষয়ক রেজিস্টারটির একাংশ দেখতে পারেন।
বছরে ৩টি পিরিয়ডে অডিট করার নিয়ম করে ছিলাম।
১। প্রতি মাসে মাসে
২। বছর শেষে
৩। বার্ষিক সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত সমূহ বাস্তবায়ন হয়েছে কিনা, সে সাধারণ সভা উদযাপনের পরবর্তী ৩ মাস পর আরো একবার।
(সম্মানিত ভিউয়ারগণকে অনেক কষ্টে পাবলিস্ট করা Bandhan Foundation বন্ধন ফাউন্ডেশন এর পরিচিতি, এ পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ করছি)
৩৯। বাৎসরিক ফিল্ড অডিট রেজিস্টার:
বাৎসরিক অডিট অফিসেও হতো, আবার সরেজমিন সদস্যদের নিকট, তাদের কাছে গিয়ে ফিল্ডেও হতো। অর্থাৎ সদস্যদের পাশ বইতে লেনদেনের যে বিবরণ তা অফিসের সাথে মিল আছে কিনা; না আদায়কারীর কোন ধরনের অনৈতিকতা রয়েছে তা যাচাই করা হতো। সে সাথে সমিতি সম্পর্কে সদস্য ও এলাকাবাসীর মন্তব্য কী, তা রিপোর্ট খাতায় তাদের স্বাক্ষর সহ লিখে আনতাম বা সমিতির পক্ষে কোন প্রচারণা থাকলে, সে পাবলিসিটিও করতাম। সব ডকুমেন্ট এখন আর বর্তমান নেই। তারপরও আপনারা এর একটু পরিচয় পেতে চাইলে
এবং ফিল্ড অডিট করার সময় সদস্যেদের উক্ত পাশ বইতে ফিল্ড অডিটর কর্তৃক লিখিত audited শব্দ ও তার সিগনেচার দেখে বিষয়টি বুঝে নিতে পারেন।
প্রতিবছর শেষে সাধারণ সভা উদযাপনের নিয়ম করেছিলাম। সভায় সকল সদস্যকে দাওয়াত দেয়া হতো। সভায় কী কী ডকুমেন্ট চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উথ্থাপন করতে হবে তা উপআইনে উল্লেখ করে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছিলাম। বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশের অনুমোদন ছাড়া সমিতির কোন আইন প্রণয়ন বা বাস্তবায়ন করা যেতো না। অর্থাৎ সমিতির যে কোন বিষয়ে চুড়ান্ত কর্তৃপক্ষ ছিলো বাৎসরিক সাধারণ সভা। আবার বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদিত কোন বিষয়ের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কারো বা কোন কমিটির পুন:অনুমোদনের নিয়ম ছিলো না। অর্থাৎ অনুমোদনের পর পরই তা উপআইনে অন্তর্ভূক্ত করতে হতো এবং উপআইনের বিপরীত সমিতির বিশেষ বা জরুরী বা তলবী সাধারণ সভা ব্যতিত কারো কিছু বলার কোন অধিকার ছিলো না।
৪০। বাৎসরিক সাধারণ সভায় যে সব ডকুমেন্টস আবশ্যকীয় ভাবে উত্তোলনের নিয়ম রেখেছিলাম:
আপনারা আমাদের ২০২০ ইং সনের বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদনের জন্য কী কী ডকুমেন্ট বা পাইল উথ্থাপন করেছিলাম তা দেখতে পারেন। উথ্থাপিত পাইল ও ডকুমেন্ট সমূহ দেখতে
২০২০ ইং সনে নিজ মালিকীয় ভূমিতে সমিতি থেকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে পরিশোধের চুক্তিতে নিজ নামে লোন নিয়ে ব্যয়বহুল ভাবে প্রতিষ্ঠা করলাম এর অফিস ও ব্যবসায়িক ঘর।
এ প্রবন্ধের বাকি অংশ দেখতে-
ধন্যবাদ সবাইকে। সবাই ভালো থাকুন।সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
(আমাদের প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট দিক সম্পর্কে জানতে নিম্নে উল্লেখিত যে কোন টপিস্কের উপর ক্লিক করতে পারেন)
বন্ধন ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট, এর নাম, লোগো, ট্রেড মার্ক এবং এগুলোর বানান
Bandhan foundation বন্ধন ফাউন্ডেশন অনলাইন সার্ভিসেস
0 Comments